আমরা অনেকেই একের পর এক ইন্টারভিউ দেই কিন্তু চাকরি হয় না। নিশ্চয় আমরা কোনো না কোনো কারণে চাকরিদাতার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি না। যে কারণে ইন্টারভিউ-বোর্ড থেকে বাদ পড়ে যাই। ইন্টারভিউ থেকে বাদ পড়ার এরকম অর্ধশত কারণ উল্লেখ্য করা হল- ১. সার্কুলারে উল্লেখিত চাকরি বর্ণনার সঙ্গে না রেখে উত্তর দিতে না পারা। ২. অল্পতে ঘাবড়ে যাওয়া বা মানসিক চাপ গ্রহণ করতে না পারা। সাধারণত প্রথম না বহুদিন পর ইন্টারভিউ দিতে গেলে এরকম । ৩.শুধু একটি চাকরি পাওয়ার জন্য যে কোনো নৈতিক ও অনৈতিক কাজ করতে অনাপত্তি প্রকাশ। ৪. কাজের চেয়ে বেতন, সুযোগ সুবিধা, ছুটি ইত্যাদি বিষয়ে বেশি আলাপ করা। ৫. সিদ্ধান্ত নিতে না পারা অথবা সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য অপরের উপরে নির্ভরশীলতা প্রকাশ করা। ৬. পূর্ববর্তী চাকরির ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ। ৭.উক্ত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে কোনো প্রকারের ধারা নিয়ে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া। ৮.সার্কুলারে উল্লেখিত কার্যাবলীর সঙ্গে সামান্যপূর্ন নয় এমন কাজের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ বা অতিরিক্ত কথা বলা। ৯. যে কোনো বিষয়ে অজুহাত দাঁড় করানো ও তর্কে জড়ানো। ১০. যোগ্যতার চেয়ে অধিক বেতনের কথা বলা। ১১. গুরুগম্ভির, সবজান্তা মূলত আঁতেল ভাব প্রকাশ করা। ১২. ক্যারিয়ারের ব্যাপারে পরিকল্পনার অভাব। ১৩. সৌজন্যবোধের ও টিম ওয়ার্কের অভাব। ১৪. নিজের কর্মক্ষেতের বিষয়ে জ্ঞানের অভাব। ১৫. সিভিতে অতিরিক্ত ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করা। ১৬. অযথা হাত পা নড়াচড়া করা, হাই তোলা বা কোন শব্দ করা। ১৭. আবেদনপত্র ভুলভাবে পূরণ করা। ১৮. নিজের যোগ্যতার পরিবর্তে অন্য কোনো বিশেষ ব্যক্তির পরিচয়কে কাজে লাগানোর চেষ্টা করা। ১৯. কঠিন পরিবেশে কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করা। ২০. আগের কোনো বাজে রেকর্ড । (অর্থনৈতিক কাজের জন্য চাকরি চলে যাওয়া)। ২১. শিক্ষা জীবনে বাজে রেজাল্ট। ২২. উচ্চাবিলাশী ও অহংকারী মনোভাব প্রকাশ করা। ২৩. দেরিতে ইন্টারভিউ দিতে যাওয়া এবং ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার সময় কলম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যেতে ভুলে যাওয়া। ২৪. একটি মিথ্যা তথ্যকে সত্য করার জন্য একের পর এক মিথ্যা বলা। ২৫. বা শিক্ষা অনুযায়ী পরিপক্ষতার অভাব। ২৬. সিদ্ধান্ত গ্রহণে একরোখা মনোভাব প্রকাশ। ২৭. সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহনের অভাব। ২৮. প্রশ্ন ঠিকভাবে না শুনে উত্তর করা। ২৯. কোম্পানির নিয়ম বিরোধী চিন্তা-চেতনার বহিঃপ্রকাশ। ৩০. সঠিক উত্তর জানা না থাকলেও ভুল উত্তর দিয়ে ইন্টারভিউ বোর্ডের উপস্থিত সবাইকে ইম্প্রেস করার ব্যর্থ চেষ্টা। ৩১. কাজের ধরন না জেনে ইন্টারভিউ দিতে চলে আসা। ৩২. প্রশ্ন উত্তরের ক্ষেত্রে অপ্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু টেনে আনা। ৩৩. নিম্নমানের শব্দচয়ন, ব্যাকারণের ভুল প্রয়োগ ও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশি প্রকাশ। ৩৪. আত্মবিশ্বাসের অভাব, চ্যালেঞ্জ নিতে না পারা, ভীতি প্রকাশ এবং কমফোর্টের বাইরে বেরিয়ে এসে কাজ করতে না চাওয়ার মনোভাব। ৩৫. কাজের বিষয় আগ্রহ কম এবং কৌতূহলের অভাব। ৩৬. কম্পিটিশনে ভয় থাকা। ৩৭. কৌশল, চাওলা ও উদ্দীপনার অভাব। ৩৮. নিয়োগকর্তার দিকে না তাকিয়ে উত্তর দেয়া। ৩৯. নিয়োগকর্তাকে অতিরিক্ত সম্মান প্রদর্শন করা অথবা পূর্ববর্তী বসের ব্যাপারে নেগেটিভ কথা বলা। ৪০. অতিরিক্ত কাজ না করার জন্য করার মনোভাব প্রকাশ। ৪১. মুখ গোমড়া করে থাকা, হাসিমুখে যদি কথা না বলতে পারেন তাহলে ইন্টারভিউ দিতে যাবেন না। ৪২. প্রাক্টিকাল ও জেনারেল নলেজের অভাব। ৪৩. ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছো কিন্তু আপনার পোশাক যদি উদ্ভট বেমানান অথবা নিম্নমানের হয় তাহলে তা আপনার নিম্নমানের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ করে। ৪৪. কোনো কাজ সহজে করার জন্য কুটকৌশল ইন্টারভিউয়ারদের সামনে বলা। ৪৫. এসেসমেন্ট সেন্টারের রিএুটমেন্ট গুলো মিট করতে না পারার কারণে অনেকে বাদ পড়ে যায়। ৪৬. প্রশ্ন করার পর উত্তর নিতে অতিরিক্ত সময় নেয়া। ৪৭. ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে বারবার ফোন চেক করা বা উচ্চ স্বরে কথা বলা। ৪৮. নিজের দুর্বলতাকে প্রকাশ করা। ৪৯. আমার একটি চাকরি দরকার বা আমাকে নিন এইরকম কথা বলা। ৫০. চুপচাপ থাকা, প্রশ্ন করলে উত্তর দিতে দেরি করা, জড়তা। MAFUZUR RAHMAN SHAN (B.sc in CSE at Manarat International University) & (Executive Member - MIUDC)