বিদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে UK-র কমনওয়েলথ স্কলারশিপ শিক্ষার্থীদের কাছে একটি বহুল পরিচিত স্কলারশিপ। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে অনেক শিক্ষার্থী এই স্কলারশিপ নিয়ে UK-তে মাস্টার্স এবং পিএইচডি করার সুযোগ পাচ্ছে। আজকে UK-র কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ কী?
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ UK সরকার কর্তৃক প্রদানকৃত একটি সরকারী বৃত্তি যা শুধুমাত্র কমনওয়েলথভুক্ত উন্নয়নশীল দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ করা। এই স্কলারশিপগুলো সাধারণত মাস্টার্স এবং পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য প্রদান করা হয়ে থাকে। সাধারণত হিউমিনিটিস এবং সোস্যাল সাইন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলোজি, সাইন্স এবং এগ্রিকালচার, মেডিসিন এবং ডেন্টিস্ট্রি এই বিষয়গুলোতে স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে।
যে সকল দেশ এই স্কলারশিপের জন্য প্রযোজ্য-
• বাংলাদেশ
• ইন্ডিয়া
• পাকিস্তান
• শ্রীলঙ্কা
• নাইজেরিয়া
• ক্যামেরুন
• কেনিয়া ইত্যাদি
স্কলারশিপ প্রোগ্রামসমূহ-
• Commonwealth PhD Scholarships
• Commonwealth Split-site Scholarships
• Commonwealth Master’s Scholarships
• Commonwealth Shared Scholarships
• Commonwealth Distance learning Scholarships
• Commonwealth PhD Scholarships
• Commonwealth Medical Fellowships
• Commonwealth Professional Fellowships
কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যাবে-
1. Durham University
2. Bath Spa University
3. Birmingham City University
4. Cranfield University
5. University of Oxford
6. Heriot-Watt University
7. Imperial College London
8. Keele University
9. Manchester Metropolitan University
10. University of West London
11. University of Surrey
12. Liverpool Hope University
13. London South Bank University
14. University of Sussex
15. University of Warwick
স্কলারশিপটির সুবিধাসমূহ:
• টিউশন ফি এবং লিভিং কস্ট ফুল কাভার হয়ে থাকে।
• £১০০০ পাউন্ডের মাসিক বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে।
• স্পাউস এবং সন্তানদের নিয়ে যাবার সুযোগ রয়েছে।
• £২২৫ পাউন্ডের মাসিক স্পাউস ভাতা এবং £২২৫ প্রথম সন্তানের জন্য ও £১১০ দ্বিতীয় সন্তানের জন্য মাসিক ভাতা হিসেবে প্রদান করা হয়।
আবেদনের যোগ্যতা এবং নিয়মাবলি:
মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য-
• কমনওয়েলথভুক্ত দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
• বয়সসীমা ৪০ এর বেশি হওয়া যাবে না।
• চার বছরের ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে।
• ব্যাচেলরে মিনিমাম হিউমিনিটিস এবং সোস্যাল সাইন্সের ক্ষেত্রে ৬০% ও ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলোজি, সাইন্স অথবা এগ্রিকালচারের ক্ষেত্রে ৬৫% স্কোর থাকতে হবে।
• বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল পড়াশোনায় ইংলিশ ভার্সন থাকতে হবে।
• ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণ থাকতে হবে।
পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য-
• কমনওয়েলথভুক্ত দেশের স্থায়ী নাগরিক হতে হবে।
• বয়সসীমা ৪০ এর বেশি হওয়া যাবে না।
• ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স ডিগ্রি থাকতে হবে।
• ব্যাচেলরে মিনিমাম হিউমিনিটিস এবং সোস্যাল সাইন্সের ক্ষেত্রে ৬০% ও ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলোজি, সাইন্স অথবা এগ্রিকালচারের ক্ষেত্রে ৬৫% স্কোর থাকতে হবে।
• বিশ্ববিদ্যালয় লেভেল পড়াশোনায় ইংলিশ ভার্সন থাকতে হবে।
• ইংরেজিতে দক্ষতার প্রমাণ থাকতে হবে।
• সুপারভাইজারের নিকট থেকে অ্যাকসেপ্টেন্স লেটার থাকতে হবে।
আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস-
• একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
• ২টি রেকমেন্ডেশন লেটার।
• সুপারভাইজারের স্ট্যাটমেন্ট।
• ভ্যালিড পাসপোর্ট এবং এর স্ক্যান করা কপি।
• নাগরিকত্বের প্রমাণ।
0 Comments